,

যে সময় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ

১. ফজর উদিত হওয়ার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস ১১৮৫)
২. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস ৫৫১)
৩. আছরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫৫১)
৪. ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস ১১৬০) তবে ফজরের সুন্নতের অত্যধিক গুরুত্বের কারণে ইকামতের পরও মসজিদের কোনো কোণে তা আদায় করা যায়।
৫. ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ।
৬. সময় যদি এত কম হয় যে সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজ শেষ হয়ে যাবে, এমন সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।
৭. খুব ক্ষুধা ও খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে ওই সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। এর ফলে খানার সঙ্গেই মন লেগে থাকবে, নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম, হাদিস ৮৬৯)
৮. প্রস্রাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস ৮৬৯),
৯. এমন কোনো বস্তুর উপস্থিতিতে নামাজ পড়া মাকরুহ, যে বস্তু নামাজ থেকে বিমুখকারী এবং খুশু-খুজুতে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী। (মুসলিম, হাদিস ৮৬৯)
১০. আরাফার ময়দানে, বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য জোহর আর আছরের মধ্যবর্তী সময়ে; মুজদালিফায়, বিশেষ করে হাজিদের জন্য মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস ১২৩৭; বুখারি, হাদিস ১৫৬২)


     এই বিভাগের আরো খবর